পদ্মানদীর মাঝির পরিণতিখণ্ড ময়নাদ্বীপ।
মানিকের উপন্যাসটি শেষ হয় কপিলাকে নিয়ে কুবেরের ময়নাদ্বীপে অভিযাত্রার মধ্য দিয়ে। হোসেন মিয়ার স্বপ্ন বুননের ময়নাদ্বীপকে নিয়ে মহি মুহাম্মদ জেলেজীবনের নতুন পাঁচালি লিখেছেন। কুবের ছিল নদীনির্ভর কৈবর্ত। জল-জাল-মালা-সন্তানাদি নিয়ে ছিল কুবেরের দিনাতিপাত। কিন্তু ময়নাদ্বীপের কুবেরের অবস্থা যেন জলবিচ্ছিন্ন মাছের মতো। হোসেন মিয়া তাকে ময়নাদ্বীপে নিয়ে গিয়ে মৎস্যশিকারের সঙ্গে যুক্ত করেনি। চাষিতে রূপান্তরিত করতে চেয়েছে। তাই হোসেন মিয়া কুবেরকে মাঠলগ্ন করেছে। হোসেনের কৌশলে কুবের জালিক কৈবর্ত থেকে হালিক কৈবর্তে রূপান্তরিত হয়েছে। এখানেই ময়নাদ্বীপের স্বাতন্ত্র্য। মৎস্যশিকার-বিযুক্ত হওয়ার কারণে কুবেরের যে অন্তর্দাহ, তারই বিশ্বস্ত রূপায়ণ লক্ষ করা যায় ময়নাদ্বীপে। মালাবিহীন সন্তান-বিচ্ছিন্ন কুবেরের ব্যক্তিগত লড়াইয়ের কাহিনি মহি মুহাম্মদের ময়নাদ্বীপ উপন্যাসটি।
হরিশংকর জলদাস
Title |
ময়নাদ্বীপ |
Author |
মহি মুহাম্মদ
|
Publisher |
অবসর প্রকাশনা সংস্থা
|
ISBN |
9789848799703 |
Edition |
১ম প্রকাশ, ২০২১ |
Number of Pages |
112 |
Country |
Bangladesh |
Language |
বাংলা |
মহি মুহাম্মদ
জন্ম চট্টগ্রামের ভূজপুরে। ১৯৭৪ সাল। আছিয়া চা বাগান। চা-বাগানের আলো-বাতাসেই বেড়ে ওঠা। তরুণবেলা থেকেই লেখালেখি। সমাজের প্রান্তজনরা তাঁর গল্পের কুশীলব। তাঁর গল্পগ্রন্থ অহল্যাকথা, সুচেতনা ও হরিশ্চন্দ্রলাইন, কয়েকজন শেফালির গল্প ও বৈকুণ্ঠপুর।
তিনি উপন্যাসও লিখেছেন-আড়াইপাতা, চা-বাগান শ্রমিকদের জীবন নিয়ে। ঘাম-কাম, ক্রোধ-উদারতা, প্রতিশোধ- প্রতিরোধের কাহিনি। চা-শ্রমিকের জীবনচিত্র।
লিখেছেন ময়নাদ্বীপ। ময়নাদ্বীপ, পদ্মানদীর মাঝির অনুসরণ নয়, যদিও পদ্মানদীর মাঝির প্রায় সকল চরিত্র ময়নাদ্বীপে উপস্থিত। ময়নাদ্বীপ পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
মেনকায় আছে অসহায় এক নারীর জীবনের করুণ কাহিনি। ঘাইহরিণীতে ঘুণে ধরা সমাজ ব্যবস্থার নতুন এক দিগন্ত উন্মোচন। কফিনের উইলি ও উড়নচণ্ডী ভিন্ন স্বাদের এক রোমাঞ্চকর কাহিনি।