পুরাে নাম : এ বি এম সারােয়ার আলম।
লেখক নাম : সীমান্ত দীপু
প্রকৃতি ও পরিবেশ লেখক-গবেষক সীমান্ত দীপুর জন্ম ১০ জানুয়ারি, ১৯৮৩ নওগাঁ জেলার সদর থানার চকরাজবল্লভ গ্রামে । পিতা মােঃ আব্দুস সামাদ, মাতা মােছাঃ দেলােয়ারা সামাদ। দুই বােন সােনিয়া আকতার ও সাদিয়া আফরীন।
বর্তমান সময়ে পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা উদ্বেগের মধ্যে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি আলােচনায় এসেছে সেটি হল বন্যপ্রাণী গবেষণা ও সংরক্ষণ । লেখক সীমান্ত দীপু এই কাজটুকুই নিরলসভাবে করে যাচ্ছেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বন্যপ্রাণী বিষয়ে পড়াশােনা শেষে তিনি এখন প্রায় জলে-জঙ্গলের মানুষ। বন্যপ্রাণীর সব শাখায় তাঁর বিচরণ থাকলেও পাখি গবেষণায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। সারা দেশ ঘুরে পাখি দেখা ও পাখির । ছবি তােলা তাঁর দারুণ নেশা। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সেক্রেটারি হয়ে জাতীয় জলচর পাখি শুমারির কাজ করতে তাঁকে দেশের প্রায় সব প্রত্যন্ত এলাকায় যেতে হয়েছে। বাংলাদেশের পরিযায়ী পাখি গবেষণায় তাঁর উল্লেখযােগ্য ভূমিকা রয়েছে। পাখিতে বার্ড রিংগিং, স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানাের অন্যতম সদস্য তিনি। উল্লেখ্য, তিনি ওরিয়েন্টাল বার্ড ক্লাবেরও একজন সদস্য। সীমান্ত দীপুর আরাে একটি গবেষণার বিষয় হল কুমির, ঘড়িয়াল, সাপ ও ব্যাঙ। তিনি গত বছর বাংলাদেশের ঘড়িয়াল গবেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন ভারতের বেঙ্গালুরুর সায়েন্স ইনস্টিটিউটে। নিঝুম দ্বীপের হরিণ গবেষক একমাত্র তিনিই। বন্যপ্রাণী বিষয়ের ওপর লেখকের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র দেশি-বিদেশি জার্নালে ছাপা হয়েছে। পরিবেশ লেখক হিসেবেও তিনি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন। লেখকের এটিই প্রথম বই। তবে যৌথভাবে একটি ভ্রমণের বইও বের করেছেন। প্রকাশের অপেক্ষায় আছে আরাে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বই। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব নিউজলেটারের তিনি একজন সম্পাদক। এ ছাড়া জনপ্রিয় ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের ম্যাগাজিন ‘বাংলাদেশ নেচার কোয়েস্ট’-এর নির্বাহী সম্পাদক। বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারে (আইইউসিএন) বন্যপ্রাণী গবেষক হিসেবে কর্মরত।